২০০৩ সম্ভবত।
আমি এড়িয়ে যাই।
Newalipur স্টেশনে ট্রেনের জন্যে অপেক্ষা করছি আমি ও আমার কলেজের এক জুনিয়র। একজন ভদ্রমহিলা একজন আর একটু মাঝ বয়েসী লোকের সাথে এসে আমার জুনিয়র টিকে বললেন একটা ফোন করতে পারেন কিনা তার মোবাইল থেকে। তখন মোবাইল সবার হাতে ওঠেনি। আমার বন্ধুটি বললো ব্যালান্স নেই। মহিলা টি বললেন যার কাছেই বলেছেন তিনিই বলেছেন ব্যালান্স নেই, ওনার কাছে সিম ছিল সেই সিম মোবাইল এ দিয়েও একটা ফোন করার প্রস্তাব সবাই ফিরিয়ে দিয়েছেন। বিপদে পরেই চাইছিলেন।
ভদ্রমহিলা ও তার সঙ্গী ফোন নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার মত ছিলেন না। অন্তত ২০ বছর আগের আমার থেকে ফোন ছিনিয়ে নিয়ে পালানো তাদের পক্ষে সম্ভব ছিল না। তবু আমি ও ফোন টা দিইনি।
বহু দিন আমার reliance mobile এ অনেকে ফায়দা তুলেছে। আমার এক বন্ধু মারপিট করে আমার মোবাইল নিয়ে প্রেম করতো। সাম্প্রতিক সে দ্বিতীয় বার বিয়ে করে বেশ খুশি আছে এখন।
কিন্তু সেই দিন আমি মোবাইল টা দিতে পারিনি ভরসা করে।
আজ এক ভদ্রলোক ফোন চাইলেন। Bike এ বসেছিলেন। বললেন তার balance শেষ হয়ে গেছে। Bike এ ছিলেন। বর্তমান মোবাইল টি আনুপাতিক দামী। খুব গুরুত্বপূর্ণ কিছু অ্যাপস্ আর তথ্য আছে। মোবাইল ছাড়া আমি মনিহারা ফনি। এখন আগের গতি টে দৌড়াতে পারবো না, পায়ে হাঁটুতে গোড়ালিতে বেশ ব্যাথা ও হয় মাঝে মধ্যে।এত কিছুর পর আজ কিন্তু মোবাইল টা দিতে পারলাম। ফোন চালু রাখতে অনেক টাকার রিচার্জ করতে হয় আর সেটা নষ্টই হয় কারণ আমি কাউকে ফোন করতে পারি না। মেসেজই করি সবাইকে। তাই কেউ ব্যাবহার করলে অসুবিধা হওয়ার কথা না।ভদ্রলোক ফোন করে অন্য জনকে বললেন তার ব্যালান্স নেই তাকে ফোন করতে তিনি অপেক্ষা করছেন। ফোন বন্ধ করে আমাকে ফেরত দিয়ে ধন্যবাদ জানালেন।
খুব নিরীহ সাধারণ ঘটনা কিন্তু আজকে আমার মনে হলো একটা বৃত্ত সম্পূর্ণ হলো।
সেই দিন সেই ভদ্রমহিলা কে ফোন না দেওয়াটা নিয়ে অনুসুচনাই করেছি। হয়ত আগামী দিনে আর করবো না। হয়তো আগামী দিনে কেউ ফোন চাইলে নাও দিতে পারি বা দিতেও পারি। My options are open। তবু আজকে নিজের মনের মধ্যে কোনো এক জায়গায় একটা অনু সূচনা বোধ থেকে হয়েটো মুক্ত হতে পারলাম।