Politics Social

স্টাচু অফ উনিতি

স্টাচু অফ উনিতি – নির্মাণ হাওয়ার সময়ে হয়ত কারুর নির্মাণ বায় নিয়ে চিন্তা ছিলো না কিন্তু আবরণ উন্মোচন হোয়া র পর থেকেই বিতর্ক শুরু হয়েছে। 
নির্মাণ তা কি সত্যি প্রয়জনিও ছিলো ? 
ভারতের আর্থিক দিক থেকে ভাবলে হয়ত না। কিন্তু গান্ধী নেহরু পরিবারকে ছেড়ে ভারতের অন্য কোনো মহাপুরুষ সেরকম সন্মান পাইনি। সে সুভাষ বস হক বা সরদার প্যাটেল বা লাল বাহাদুর শাস্ত্রী হক বা নরসিমা রাও বা অতল বিহারী বাজপেয়ী। তবে নিঃসন্দেহে সন্মান প্রদর্শনীর জন্য ৩০০০ কোটি খরচার প্রয়াজন ছিলো না। 
কতদিন এর মধ্যে এই খরচা টা উঠতে পারে ? টিকেট বিক্রি করে অন্তত ২০-৫০ বছর লাগবে এই টাকা উঠতে । তাহলে কি শুধুই টাকা নষ্ট এই মূর্তি তৈরি করে? না। আজ সিঙ্গুরে টাটা নানোর কারখানা হলে আমি হোয়ত গাড়ি চালানো বা গাড়ি বানানো শুরু করতাম না। তাহলে আমি লাভবান হতাম না? সিঙ্গুরে কারখানা তৈরি হলে সেখানকার পরিস্থিতির সার্বিক উন্নীত হতো । হসপিটাল স্কুল কলেজ গড়ে উঠত। টাটা র দেখানো পথে আরো অনেক কারখানা তৈরি হতো। সিঙ্গুর একটা ইন্ডাস্ট্রিয়াল হাব হয়ে উঠত। যদিও সিঙ্গুরের জমি ছিলো পৃথিবীর অন্যতম উর্বর জমি। তাই এই কারখানা অন্য কোথাও হওয়া উচিত ছিলো। কিন্তু নিসন্ধেহে এই কারখানা হলে কর্মসন্থান হতো। সেরকম মূর্তি তৈরির ফলে ওই জায়গার আসে পাসে অন্য অনেক হোটেল রস্টুরেন্ট ধাবা নির্মাণ হবে এর ফলে ভারত সরকার লাভবান হবেই। অনেক কর্মসংস্থান ও ঘটবে। গুজরাটের এই স্টান টি যেটি অধিক জনপ্রিয় ছিল না সেটা জনপ্রিয় হয়ে উঠবে। তো শুধু টিকিটের দাম চিন্তা করলে হবে না সর্বব্যাপী একটা উন্ময়ানের ব্যাপার আছে। সেটা অন্য ভাবে অবশ্যই হতে পারত। যদি একটা কারখানা করা যেত। অবশ্যই তাতে অনেক বেশি কর্মসংস্থান হতো। কিন্তু এটাও বুঝতে হবে যে একটা ব্যবসায়ে লাভের সাথে ক্ষতির ও ব্যাপার থাকে । পর্যটন শিল্পে কিন্তু ক্ষতির অসঙ্খা কম । কারণ লোক ঘুরতে আসবেই । বিশেষ করে যদি সেই জায়গায়ে অদ্বিতীয় কোনো নির্মাণ থাকে। টাটা নানো একটা সময়ে ট্রেন্ড ছিলো আজ কিন্তু লোক ননো কিনতে চায় না। কিন্তু লোক ২০০ বছর ধরে ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল দেখতে যায়। ৫০০ বছর ধরে তাজমহল দেখছে। আর এই নির্মাণ গুলো অনেক জেনারেশন ধরে রেভিনিউ জেনারেট করছে। ত এই নির্মাণ অবশ্যই নরেন্দ্র মোদী সরকারের মাস্টার স্টক নয়। তবে খুব ক্ষতিও হবে না এতে ।