East Bengal Sports

হারের হ্যাট্রিক ইস্ট বেঙ্গলের

আজকে ও দেখলাম বিশ্বকাপার কে খিস্তি করা হয়েছে| কিন্তু আমরা যারা মাঠে ছিলাম এক কথায় সবাই মেনে নেবে, কাল যদি একটা প্লেয়ার এর খেলা একটু হলেও ভালো লেগে থাকে বা মাঠে হাততালি কুড়িয়ে থাকে সেটা আকোস্টার খেলা| ছেলেটা ডিফেন্ড করে| বল বাড়ায়ে| ওপর উঠে গোলের চেষ্টা করে| সারা মাঠ জুড়ে খেলে| মুশকিল হলো বিশ্বকাপার মানে আমরা বুঝি এক দিক থেকে শট মারবে অন্য দিক থেকে গোল হবে| কিন্তু বাস্তবে সেটা সম্ভব নয়|

কোচ বদলানোর দাবি তুলছি না| কিন্তু সত্যি ডাগর এর জায়গায় উবাইদ কে মেনে নিতে পারলাম না বাস্তব বুদ্ধি দিয়ে| আগের ম্যাচ তা তে ডোবানোর পর ও আবার আর একটা খেলাতে ডোবানোর জন্যে ভরসা করার মানে বুঝলাম না| ৮০ মিনিটে গোলের জন্যে একমাত্র যাকে ভরসা করা যায় তাকে তুলে নিয়ে বিদ্যাসাগর সিংহ? কোচ কি বিদেশী খেলানোর নিয়ম তা বুঝতে পারছেন না ? নাকি উনি স্প্যানিশ বলে স্প্যানিশ ছাড়া সবাই কে বিদেশি ভাবছেন?

৯০ এর দশকে হিমালয় বলে একজন হিরো ছিল| যাকে দেখে প্রত্যেক তা রিক্সাআলা হিরো হাওর সপ্ন দেখতো| বা বর্তমান প্রজন্মে বাংলাদেশের হিরো আলমের মতো| ইস্ট বেঙ্গলের দেশি খেলোয়াড় দের দেখে সত্যি আমাদের বাবা মার্ উপর রাগ হয় | ওনার যদি আমাদের ডাক্তার এঞ্জিনিয়ার করার স্বপ্ন না দেখে ফুটবলার করতেন তাহলে আমরা ও এই সময়ে কোটি টাকা কামতাম ফুটবল খেলে| কারণ এখনকার ব্রেন্ডন রালতে রা যা খেলেন তার থেকে আমাদের পাড়ার মুদির দোকানে বসা কর্মচারিতা ভালো খেলে|

উবাইদ কে নিয়ে বলার কিছু নেই| দশ তা ওর না | ওকে যারা খেলছে তাদের| আমাদের সমর্থক তা ঝাড়গ্রাম আসানসোল থেকে চলে আসে ৯০ মিনিটে খেলা দেখার জন্যে| উবাইদ তো গোললাইয়েন থেকে বক্সের মাথায় যেতে পারে না|

আমনা তো বর্ডার সিনেমার জ্যাকি | মাঠে নেমেই জিতিয়ে দেবে| কিন্তু মাঠে নামতেই পারছে না|
কাল খেলার প্রথম দিকে কাসিম এমন ফলস দিছিলো যে মানে হচ্ছিলো এ এতদিন বসে ? খেলার শেষ দিকে মানে হলো ওনাকে যত তাড়াতাড়ি বাড়ির টিকেট ধরানো যায় তত ভালো|

মাঝ মাঠ থেকে বল যাচ্ছে না| এনরিকে কে ৪-৫ জন মিলে ধরে নিচ্ছে| তাও বলছি সনি ব্যারেটো রা এরকম পরিস্থিতি তে এর থেকে ভালো খেলেছে|

মাঠে ঢোকার আগে লেবু চা খেলাম| নুন তা বেশি ছিল ভাল লাগলো না| পরিমান মতো মিষ্টি, চা, লেবু নুন না দিলে স্বাদ আসেনা| ইস্ট বেঙ্গল এর এই দল তাকে চা র সাথে তুলনা করলে বলতে হবে চা মিষ্টি নুন লেবু কিছু নেই শুধু গরম জল পরিবেশন করা হচ্ছে তাই চা এর স্বাদ পাওয়া সম্ভব না |

একটা বাচ্ছা ইস্ট বেঙ্গল সমর্থক মেয়ে উসশ্রী আর নেই|খেলার আগে জানানো হয়েছিল যে তার স্মৃতির উদ্দেশে খেলবে দল| কিন্তু এই খেলা? পলটু দাস এর চিতার উপর শপথ করে ইস্ট বেঙ্গল দল প্রথম জাতীয় লীগ জেতে| কিন্তু বর্তমান যুগে এক এক করে সমর্থক কর্ম কর্তা রা চলে যায়| প্রতিশ্রুতি হয় কিন্তু সেটা পূরণ হয় না |