East Bengal Sports

বোরো ক্লাবের কড়চা |

আজ শঙ্করলাল একটা কথা বলেছে যে মোহন বাগানের ১২৫ বছরের ইতিহাসে ৪-৫ গোল খাওয়া র ঘটনা অনেক ঘটেছে নতুন কিছু না। কথা টা ধ্রুব সত্যি। আমরা বাঙালি ফুটবল প্রেমীরা ৭০-৮০-৯০ এর দশকের ফাসিনেশন এ পরে থাকি কিন্তু আসল ব্যাপার গুলো বিবেচনা করিনা। আজকের যারা বিশেষজ্ঞ তারা নিজেদের জিবনে কি করেছেন সেটা ভেবে দেখেন না। বাবলু ভট্টাচার্য অর্ধ মৃত পেলে কে কাদা মাঠে একটা মাসালা খেলাতে আটকে নিজেকে বেকেনবাওয়ার মনে করতেই পারেন। অন্যের মনের উপর কারুর জোর নেই কিন্তু সেই ভাবনা টা সত্যি হয় না। ভারতের ফুটবলে এনাদের অবদান টা কি? পিকে ব্যানার্জি অ্যাপা রাও সালে চুনী গোস্বামী দের পর ভারতীয় ফুটবলে মনে রাখার মত কি ঘটেছে? কৃষানু বিকাশ সুদীপ রা সন্মানীয়। ভারত সেরা কিন্তু বাহরাইন কতার ওমান ইরান দের সাথে বরাবরই ৮-৯ গোল ক্ষেয়ে এসেছে। হ্যাঁ করিয়া জাপান দের সাথে ভালো খেলত কিন্তু সেই সময়কার করিয়া জাপান এত ভালো ছিলো না আজকের মত। আজ ওরা এগিয়েছে আমরা পিছিয়ে পড়েছি আরো। বাবলু ভার্টাচর্য ত ভারতীয় দিলেই নিয়মিত ছিলেন না। চিমা বা কৃশানু দে রাই বা কটা বিদেশি ডিফেন্সের বিরুদ্ধে খেলেছেন সেই যুগে? মুসা জ্যাকসন আসার পর তো চিমা কে পালিয়ে যেতে হলো তার আগে শংকর লাল চিমা কে অর্ধেক মেরে দিয়েছিল। ফাস্ট্রেটদ হয় চিমা শংকর লাল পায়ের উপর দাড়িয়ে পরে। শঙ্কর লালের ক্যারিয়ের শেষ হয় যায়। ২০০০ সাল বা তার আসে পাশের সময়ে ভারতীয় দল গুলোতে ৩-৪ বিদেশি একসাথে খেলা শুরু করে। কিন্তু ইস্ট বেঙ্গল মোহন বাগান সেই সময়ে রাজত্ব করছে। কর্পোরেট ফুটবল চালু হয় নি সেভাবে এরি মধ্যে জিসিতি প্রায়ই বেগ দিত বোরো দল গুলো কে । প্রথম জাতীয় লিগ জিসিটি এ জেতে। মোহন বাগণ প্রথম জাতীয় লিগ খেলার যোগ্যতা অর্জন করে নি। এর পর মোহন বাগান এর বিদেশি জুটি ইগোর স্টিফেন বেরতো বা ইস্ট বেঙ্গলের মুসা জ্যাকসন বা মুসা ডগলাস ওকেরো জুনিওর এরা প্রতিপক্ষ দলের তুলনায় অনেক শক্তিশালী ছিল। ইস্ট বেঙ্গলের সেই সময়ে সেরা ভারতীয় খেলোয়ার র খেলত। সেরা ফর্ম এর ভাইচুং আলভিত সুরকুমার মহেশ গাওলি দীপক মন্ডল সন্দ্বীপ নন্দী রজত ঘোষ দস্তিদার। তাই প্রায় সব টর্নামেন্ট ইস্ট বেঙ্গল জিতেছিল। কিন্তু এর পর থেকেই শুরু হয় কর্পোরেট কালচার। প্রবেশ ঘটে দেম্পর । আর্মন্দ কলাসো কে গালাগাল করলেও অস্বীকার করার জায়গা নেই যে দেম্পো ভারতীয় ফুটবলে এক দশকের মতো সময়ে রাজত্ব করেছে। ইস্ট বেঙ্গল মোহন বাগান কে পিছনে ফেলে দিয়ে। ইস্ট বেঙ্গল মরগানের হাত ধরে কিছুটা ফিরে আসে । ফেডারেশন কাপের মত নক আউট টুর্নামেন্ট ২-৩ বার জেতে। কিন্তু আসল পরীক্ষা আইলিগে বার বার পরাজিত হয়েছে। একটা মাঝারি মানের ছাত্র ক্লাস টেস্টে ১০/১০ পেতেই পারে কিন্তু ফাইনালে ১০০/১০০ শুধু মাত্র সেরা ছাত্র দের জন্যে। চোট আঘাত কার্ড সমস্যা এই সব পার করে আই লীগ জিততে হয় যেখানে আমরা ব্যর্থ। যারা ওই আই এফ এ শিল্ড বা কলকাতা লিগ জেতা নিয়ে গর্ব করেন তাদের ফুটবল বোধ এর অভাব আছে এই ছাড়া আর কিছু বলার নেই। মোদ্দা কথা ইস্ট বেঙ্গল মোহন বাগান এই মুহূর্তে ভারত সেরা নয়। কয়েসের হাত ধরে ইস্ট বেঙ্গলে কিছুটা আসা জেগেছে কিন্তু রেজিস্ট্রেশন বান সেই আসায় জল ঢেলেছে অনেক টা। দেশীয় ফুটবাররা যারা আছেন তারা আমাদের পাড়ার ক্ষেপে খেলাতেও ভালো খেলবে কিনা সন্দেহ। কিন্তু আঙ্গুল বিশ্ব কাপার বা কোচ বা বাকি বিদেশি দের দিকে। হ্যাঁ একদল আছেন আবেগ প্রবন। বিচার না করে মন্তব্য করেন কিন্তু একটা শ্রেণি খুব বিচক্ষণ ভাবে এই প্রচেষ্টা করছেন এদের এক দল হচ্ছে মিডিয়া যারা ইস্ট বেঙ্গল ক্লাবে পাত্তা পায়ে না বলে কুৎসা রতাছে একদল হচ্ছে অতীত ফুটবলার যারা আজ কোচিং এর দোকান চালান। তাদের বক্তব্য হলো বিদেশি কোচ হাতাও আমাদের সুযোগ দাও সে আমরা ব্যর্থ হলেও আমাদের কে সুযোগ দাও। স্প্যানিশ কোচ না হয় ইংলিশে কথা বলতে পারে না টা আমাদের কোন মহামান্য প্রাক্তন ফুটবলার সেটা পরে? ঠিক করে বাংলা তাই বলতে সেখে নি এরা। আর কিছু হলো সেই গোষ্ঠী যাদের দোকান কয়েস আসার পর বন্ধ হয় গেছে। কোয়েশ কে জানো তানো প্রকারে তাড়াতে চায় এরা। কিন্তু এই প্লয়ার রেজিস্ট্রেসন বন্ধ হলো কানো সেই প্রশ্নের উত্তরে তারা চুপ করে থাকে।