Articles Politics

সাধারণ বাজেট ২০১৭-১৮

স্বাস্থর উপর জোর দেয়ার বিষয়টি সত্যি বিরল | কিন্তু সামগ্রিকভাবে সেরকম কোনো চমক নেই | আবার খুব একটা বিরোধিতা করার জায়গাও নেই | যে পথে সরকার চলছিল সেই পথেই এগোচ্ছে | সড়ক রেল বিজলীর উপর জোর | এগুলো আগে থেকেই দেখা গেছে |
শেষ বর্ষে সাধারণত সরকার অনেক রিন্ মাফ করে অনেক ভর্তুকি দায়ে আর আয়ে ছাড় দায় | সেই পথে সরকার হাটে নি |
কৃষি ক্ষেত্রে জনমোহিনী যদিও দেখতে হবে বাজেটে যা যা করার কথা বলা হয়েছে সেটা আসল জায়গায় করা যাচ্ছে কিনা |
স্বাস্থ্যে নজরদারি | জ্যেষ্ঠ নাগরিক দের জন্যে একাধিক সুবিধা |
বিরোধিতার জায়গা
১. মাইনে পাওয়া কর্মচারীদের জন্যে সেই অর্থে নতুন কোনো কর ছাড় নেই |
তবে শেষ ২-৩ বছরে কর অনেক তাই কমেছে অনেক ডিডাকশনের জায়গা করে দেয়া আছে |
সেই ভাবে ৫ লক্ষ কি তার ওপরের বার্ষিক আয়ে কর মুক্ত করা খুব একটা কঠিন না | তবে ডাইরেক্ট ছাড় না, স্যাভিংস করে ছাড় আদায়ে করতে হবে |
২. লার্জ ক্যাপিটাল ইনকাম – নোট বন্ধির পর থেকেই একটা ঝোক দেখা গেছে মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োক করার | ব্যাংকের শুধ কমে যাওয়ার সেটি আরো বেড়েছে | তবে কোনো এক দিকে বিনিয়োক করা ঝুঁকি পূর্ণ | তাই যাতে লোকে ব্যাংকেও বিনিয়োগ করে সেই দিকে নজর রাখতেই এই প্রচেষ্টা বলে মানে হয় |
৩. মোবাইল ও টিভির উপর কাস্টমস বাড়ানো |
ভারতে মোবাইল তৈরির কারখানা সবে প্রথম ধাপে | এই মুহূর্তে বাইরের তৈরী মোবাইলের সাথে তাদের পাল্লা দেয়ার সামর্থ কম | তাই তাদের কে বাড়তি সাহায্য দিতেই এই কর বসানোর ভাবনা | ভারতের উদপাদিত জিনিস কে কিছু সুরক্ষা দিতে হবে যাতে তারা বেড়ে উঠতে পারে |
আর একটা জিনিস এখন জিএসটি কাউন্সিল আলাদা আর জিএসটি তে প্রচুর জিনিসের উপর দাম কমেছে |
তবে এখন নজর দেয়ার একটা জায়গা হলো পেট্রোলিয়াম জাত পদার্থ কে যত দ্রুত সম্ভব জিএসটির আওতায় আনা|