ইস্ট বেঙ্গল ১ – ০ ইন্ডিয়ান আরোজ
কষ্টার্জিত জয়।
লাল কার্ড দেখা টা স্বভাবে পরিনিত করে ফেলেছে দল। চুল্লোভা সামাদ মনোজ বালি কেউ না কেউ লাল কার্ড দেখার কাজ টা নিজের কাধে তুলে নেন। অতি সাধারণ কিছু কারণে। মাঠ থেকে বাইরে বেরোলে আবার যে লাইন্স মানের পারমিশন নিয়ে মাঠে ধুঁকতে হয় এই সাধারণ জিনিস টা না জানার কথা না কিন্তু তাও ভুল গুলো হয়। স্বপন বলের প্রয়জন টা এই ক্ষেত্রে দেখা দেয়।
আসা যাক বাকি খেলার কথায়।
প্রথম অর্ধ খুব খরাপ। দ্বিতীয় অর্ধে স্বচ্ছন্দে ফিরলো দল। দানমুইয়া আর বদলে ব্র্যান্ডন। এই পরিবর্তন টা খুব গুরুতবপূর্ণ ছিল। ব্র্যান্ডন এর উইং বরাবর দৌড় গুলো সাহায্য করলো।
জবির আজ তিনটে পাস আমার কাছে ওর করা অনেক গোলের থেকে বেশি নম্বর পাবে।
হয়েত আর ১-২ ম্যাচে গোল না পেলে আর মিস করলে জবি গালা গাল খাওয়া শুরু করবে তবু আজ দ্বিতীয় অর্ধে জবির ভূমিকা খুব তাতপর্য পূর্ণ। প্রত্যেক খেলা তে গোলের সামনে ফাঁকা বল আসবে না তখন বল বাড়াতে হবে। এটাই দলগত খেলা। জবি আজ সেটা করেছে। তাই জবি কে অভিনন্দন। দ্বিতীয় অর্ধে টনি নিজের নামের প্রতি সুবিচার করলো। সান্তোস এর গোল ছাড়াও বাকি সময়ে খেলা বেশ ভাল লাগলো। মূলত দ্বিতীয় অর্ধে।
তবে আশ্চর্যের ব্যাপার দলের সব থেকে বেশি পাস খেলে আকস্তা আর বোর্যা। আজ সঙ্গে যোগ হয় কাসিম। আজ এই ৩ জনের খেলা বেশ ভালো হলো। বোর্যার হিরো অফ দা ম্যাচ পাওয়া তাও যুক্তিসঙ্গত।
কোচের ভূমিকা
মায়দানে একটা কথা চলে সেটা হলো দ্বিতীয় অর্ধ হলো কোচের আসল পরীক্ষা। আমাদের সুভাষ ভৌমিক এই জন্যেই জনপ্রিয় ছিলেন। অনেক খেলাতেই প্রথম অর্ধ বেশ খারাপ খেলে দ্বিতীয় অর্ধে পুরো পাল্টে গেছে দলের খেলা। এটাই কোচের ম্যাচ রিডিং। আজ দ্বিতীয় অর্ধে কোচ সেই কাজটাই করে দেখালেন। দানমুইয়ার বদলে ব্র্যান্ডন তাতেই খেলা বদলে গেল ইস্ট বেঙ্গলের।
আইলীগ টেবিল
এই মুহূর্তে আইলীগ টেবিলে ইস্ট বেঙ্গল দলের অবস্থান ২ নম্বরে| ইস্ট বেঙ্গল, চার্চিল ও কাশ্মীর এর নিজেদের মধ্যে খেলাতে ইস্ট বেঙ্গল চার্চিল এর সাথে জিতে এবং কাশ্মীরের সাথে ড্র করে পেয়েছে ৪ পয়েন্ট| চার্চিল কাশ্মীর কে হারিয়ে ও ইস্ট বেঙ্গলের কাছে হেরে পেয়েছে ৩ পয়েন্ট আর কাশ্মীর ইস্ট বেঙ্গলের সাথে ড্র করে আর চার্চিল এর সাথে হেরে পেয়েছে ১ পয়েন্ট| সেই সূত্রে ইস্ট বেঙ্গল এখন ২ নম্বরে|