ইস্ট বেঙ্গল ৫ – ০ লাজং
চেন্নাই পয়েন্ট হারিয়ে সুবিধা করে দিয়েছিলো ইস্টবেঙ্গলের| সেই সুযোগের প্রথম ধাপ ভালো ভাবেই পেরোলো ইস্ট বেঙ্গল|
আজ ১৪ ফেব্রূয়ারি প্রেমের দিবসে যুবভারতী ক্রিয়াঙ্গনে আইলিগের গুরুত্ব পূর্ণ খেলায় ইস্ট বেঙ্গল মুখোমুখি হয়েছিল লাজংয়ের| সেই খেলায় ৫ – ০ গোলে জয় ইস্ট বেঙ্গল|
লাজংয়ের গতি নিয়ে চিন্তিত ছিলেন ইস্ট বেঙ্গল কোচ| সেই গতির জন্যে তিনি বেছেনিলেন পাল্টা গতি আর বল রোটেট করা| অসাধারণ এক দলগত সঙ্গতির খেলা| নিজেদের মধ্যে দারুন বোঝা পড়া| বল ধরা বল ছাড়া| সব কিছু নিখুঁত| লাজং কে বল ধরতেই দেয় নি ইস্ট বেঙ্গল একটা সময় অব্দি| রক্ষিত ডোগর প্রথম বার বল ছুঁলেন খেলার ১৭ মিনিটে|
প্রথম গোল
তার আগেই ইস্ট বেঙ্গল প্রথম গোল পেয়ে গেছে| দিকার কর্নার থেকে দানমুইয়ার হেডে প্রথম গোল|
দ্বিতীয় গোল
এর পর বোরহার একটা লম্বা পাস্ সেটা ধরে দানমুইয়ার দ্বিতীয় গোল|
তৃতীয় গোল
এক মিনিট বাদেই টনি ডোভালের একটা দারুন পাস্ এনরিকে কে| এনরিকে বল সাজিয়ে দেন জবির জন্যে ৩-০|
চতুর্থ গোল
কিছু খুন বাদে এনরিকের নিজের গোল| টনির পাস্ ধরে একটা ভলি ৪-০|
প্রথম অর্ধে ৪-০ গোলে এগিয়ে ইস্ট বেঙ্গল মাঠ ছারে| দ্বিতীয় অর্ধে ইস্ট বেঙ্গল কোচ কিছু বদল আনেন রিসার্ভ বেঞ্চ কে দেখে নেওয়ার জন্যে| চুল্লভার বদলে মাঠে নামেন সামাদ|
কিছু বাদে এনরিকের বদলে মাঠে নামেন সান্তোস|
পঞ্চম গোল
মাঠে নামার মিনিট দুয়ের মধ্যেই সান্তোস একটা মাইনাস রাখেন বক্সের মধ্যে| জবি বল তা ছেড়ে দেন দানমুইয়ার জন্যে| গোল করতে ভুল করেন নি এই মাঝমাঠের পাহাড়ি খেলোয়াড়| ৫-০ আর সাথে নিজের হ্যাটট্রিক ও পূর্ণ করেন| এক ভারতীয় মাঝ মাঠের খেলোয়াড় ৭ তা গোল করে ফেললেন আইলিগে| বিরল ব্যাপার| এছাড়া দানমুইয়া ইস্ট বেঙ্গলের বহু গোলের পেছনে বোরো ভূমিকা নিয়েছিলেন|
দিদিকা রালতে আজ ও পুরো ফর্মে নেই কিন্তু ওনার স্পট কিক বিপক্ষের রাতের ঘুম কেড়ে নায়ে| মাঝমাঠে কাসিমের কথা না বললে ভুল হবে| বিপক্ষর পা থেকে বল কেড়ে নিয়ে তিনি পাল্টা আক্রমণের সূচনা করেন| রক্ষণে জনি ও বোরহা ভরসা দিয়ে যাচ্ছেন|
টনি দোভালে আগের খেলা গুলোতে সমালোচিত হয়েছিলেন| আজ দারুন একটি ইতিবাচক ভূমিকা নেন ইস্ট বেঙ্গলের জয়ে| ভাগ্য ভালো থাকলে তিনি নিজেও গোল পেতে পারতেন|
আর এনরিকে ছোট সরিয়ে ফায়ার এসে তিনি ৩ তে গোল করে ফেললেন| জবির গোলের পেছনেও তার বোরো ভূমিকা|
মাঠে আজ উপস্থিত ২৫ হাজার দর্শক প্রেমের দিবসে প্রিয় দলের থেকে ভালোবাসার উপহার যে পেলেন তা বলাই বাহুল্য|
3 thoughts on “ইস্ট বেঙ্গল রক্তের স্বাদ পাওয়া বাঘের মতো এগোচ্ছে খেতাবের দিকে”
Comments are closed.